পুজো-পার্বণে সুস্বাদু খিচুড়ির সঙ্গে জিভে জল আনা লাবড়ার অন্যতম উপাদান কুমড়ো। কুমড়ো ফুলও ভেজে খায় বাঙালি। তবে অনেকে আবার অপছন্দও করেন। কিন্তু জানা আছে তো এই কুমড়োর বীজের নানা উপকারিতা।

আসুন জেনে নেয়া যাক কুমড়োর বীজের নানান উপকারিতা।

>>কুমড়োর বীজ পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, কুমড়োর রয়েছে হাজার একটা গুণ। কুমড়া খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ফাইবার।

এরই পাশাপাশি কুমড়োর বীজও আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে পুরুষদেহের জন্য এগুলো খুবই উপকারী। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কুমড়োর বীজ খেলে কী উপকার হয়, কী ভাবে খেতে হবে।

>>গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কুমড়ো বীজ শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম। পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই বীজ। শুধু তাই নয়, গবেষণা রিপোর্ট বলছে, কুমড়োর বীজ খেলে পুরুষদের প্রস্টেট-এর স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। এটি যৌন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রস্টেট গ্রন্থি শক্তিশালী করতে এবং স্বাস্থ্যকর হরমোন উৎপাদন করতে, পুরুষদের কুমড়োর বীজ খাওয়া উচিত। পাশাপাশি কুমড়ো বীজ খেলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতারও উন্নতি হয়ে থাকে।

>>কী আছে এই কুমড়োর বীজে ?

দেখা গিয়েছে, কুমড়ার বীজে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ফাইবার এবং সেলেনিয়ামে ভরপুর। যা মানুষের দেহ কোষকে রক্ষা করে। সেলেনিয়াম প্রস্টেট ক্যানসার থেকে রক্ষা করে। এর পাশাপাশি ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী এই কুমড়ো বীজ।

গবেষণা রিপোর্ট অনুসারে, কুমড়ো ইনসুলিনের পরিমাণে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করতে পারে। তাই এই কুমড়ো বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। ঘুমনোর আগে কুমড়োর বীজ খেলে ভাল ঘুম হয়। এ ছাড়াও, এতে মানসিক চাপ কমে বলেও দাবি করা হয়।

>>কুমড়োর বীজ কখন খাওয়া উচিত ?

সকালে জলখাবার হিসেবে শুকনো ভুনা কুমড়োর বীজ খাওয়া যেতে পারে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও খাওয়া যেতে পারে কুমড়োর বীজ।